টপ থ্রি প্রায়োরিটি নাজমুল হাসানের
ফটোনিউজবিডি ডেস্ক: | PhotoNewsBD
৭ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

২০১২ সালে সরকারের মনোনয়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হন নাজমুল হাসান পাপন। পরের বছর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালেও খালি মাঠে গোল করেন এই ক্রীড়া সংগঠক।
তবে এবার ভোটে জিতে, নির্বাচিত হয়ে দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন নাজমুল হাসান। তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার পর আরো ৪ বছরের জন্য বিসিবির সভাপতি হয়েছেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় দল নিয়ে নিজের পুরোনো প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দলকে নিয়ে যেতে চান পাঁচ নম্বরে। তবে সেসবের আগেও নাজমুল হাসানের কাছে তিনটি কাজ অতি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করতে চান তিনি।
নতুন মেয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের অনেক কাজ বাকি। এতদিন অনেক কাজ করেছি এটা মনে করা হবে ভুল। কারণ এখন আরো কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। এটা আমাদের যতদ্রুত সম্ভব চালু করতে হবে। কারণ আমরা যে আইসিসি ইভেন্টের জন্য আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এ স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাব না। তো এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’
নাজমুল হাসানের এরপর গুরুত্ব দিচ্ছেন গঠনতন্ত্রকে, ‘দ্বিতীয়ত হলো, গঠনতন্ত্র। পরিচালকদের গঠনতন্ত্রে কোথায় কী পরিবর্তন আনা যায় তা বলতে বলেছি। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে। আমার প্রস্তাব হলো– আমাদের এখানে এতগুলো ক্লাব অংশগ্রহণ করে অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নেই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্কও নেই। এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এরকম আরো আছে।’
শেষ যে বিষয়কে গুরুত্ব দিবেন তা হলো, ‘তৃতীয়ত, আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা তৈরি। এটার সঙ্গেই কাঠামোগত উন্নয়নের কথা এসেছে। ক্রিকেট একাডেমি ইতোমধ্যে এক জায়গায় হয়েছে আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়সভিত্তিকের জন্য নির্দিষ্ট একাডেমি হবে। এখানে আমি প্রস্তাব রেখেছি যে– উন্নত একাডেমি তো কয়েকটা হবে কিন্তু তিনটা থাকবে নির্দিষ্ট। যেমন ব্যাটিংয়ের জন্য একটা থাকবে, পেসারদের জন্য একটা আর স্পিনারদের জন্য একটা। এটা জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য না, ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে। এখানে দেশি হোক বা বিদেশি হোক, নির্দিষ্ট কোচ থাকবে। এছাড়া আমাদের খেলার মাঠ দরকার ৮-১০টা, যেখানে সারা বছর খেলা চালাতে পারি। সামনে আরো বেশি খেলাতে চাই। আর এই মাঠগুলো আমরা (বিসিবি) পরিচালনা করবে। ‘